শীতকাল কিংবা শুষ্ক আবহাওয়া জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে সঠিক যত্ন ও পণ্য ব্যবহারে ঠোঁটকে সারাবছর কোমল ও মসৃণ রাখা সম্ভব।ঠোঁটের যত্নে চর্মবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচে তুলে ধরা হলো:
১. উপযুক্ত পণ্য নির্বাচন করুন
আপনার লিপ বাম বা লিপস্টিক যেন ঠোঁটের জন্য নিরাপদ এবং অ্যালার্জেনিক না হয়, তা নিশ্চিত করুন। অনেক পণ্য ব্যবহারে জ্বালা বা টনটন করলে তা ব্যবহার বন্ধ করুন। কিছু উপাদান এড়িয়ে চলুন:
- ক্ষতিকর উপাদান:
- ক্যামফর
- ইউক্যালিপটাস
- সুগন্ধি
- মেনথল
- অক্সিবেঞ্জোন
- প্রোপাইল গ্যালেট
- উপকারী উপাদান:
- কাস্টর তেল
- সেরামাইড
- পেট্রোলিয়াম জেলি
- শিয়া বাটার
- জিঙ্ক অক্সাইড
২. নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করুন
দিনে কয়েকবার এবং রাতে ঘুমানোর আগে একটি ময়েশ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার করুন। খুব শুষ্ক ঠোঁটের জন্য সাদা পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভারী ওয়াইনমেন্ট ব্যবহার করুন।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীর আর্দ্র রাখতে পানি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি খেলে ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৪. ঠোঁট চাটা বা তুলে ফেলা বন্ধ করুন
ঠোঁট চাটলে তা আরও শুষ্ক হয়। পাশাপাশি ঠোঁট কামড়ানো বা খোসা তুলে ফেলা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে আরও নাজুক করে তোলে।
৫. হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
শীতকালে বা শুষ্ক পরিবেশে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে যদি আপনি মুখ দিয়ে শ্বাস নেন, তাহলে এটি অত্যন্ত উপকারী।
৬. ঠোঁটের সংস্পর্শে ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলুন
পেপার ক্লিপ বা ধাতব গহনা ঠোঁটে ধরবেন না। এগুলো ঠোঁটকে অতিরিক্ত শুষ্ক বা সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
৭. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যদি উপরের যত্ন নেওয়ার পরেও দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ঠোঁট ঠিক না হয়, তবে চর্মবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শুষ্ক ঠোঁটের পেছনে অ্যালার্জি, ইনফেকশন, বা প্রি-ক্যানসারাস অবস্থার মতো সমস্যা থাকতে পারে।
সঠিক যত্নে কোমল ঠোঁট পেতে উপরের নির্দেশনা মেনে চলুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
Leave a Comment